সেতু বন্ধনের গল্প

 

কেন আমাদের এই আয়োজন ???

আমরা কোনো পারফেক্ট সমাজে নেই যেখানে ছোটবেলা থেকেই সবার দ্বীনের বুঝ থাকে এবং সেই অনুযায়ী সবাই জীবনকে সাজায় বরং আমরা একেকজন জীবনের একেক পর্যায়ে এসে ইসলামের বুঝ পেয়েছি। জীবনের সেই পর্যায়ে এসে সব কিছু নতুন করে শুরু করার সুযোগ অধিকাংশেরই থাকে না। তাহলে দ্বীনের বুঝ আসার আগে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা এগুলো কি মূল্যহীন হয়ে যায়?

না।

আমরা বিশ্বাস করি, জ্ঞানকে দ্বীনী বা দুনিয়াবী এভাবে শ্রেণীবিভাগ করা সমীচীন নয় বরং হাদীসে যেভাবে ‘উপকারী’ বা ‘উপকারী নয়’ এইভাবে ভাগ করা হয়েছে সেটাই অধিক উপযুক্ত। আমরা দেখাতে চাই, যে কোনো ফিল্ডের জ্ঞান দিয়েই উম্মাহর কল্যাণে অবদান রাখা সম্ভব ইনশাল্লাহ।

আমরা চাই যে মেয়েরা Diversified Human Resources এর সাথে পরিচিত হোক, বুঝুক যে কিভাবে বিভিন্ন মানুষ যার যার অবস্থান থেকে, যার যার সাধ্যমত উম্মাহর জন্য কিছু করার বিনম্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তারা বুঝুক যে আল্লাহর দ্বীন অনেক প্রশস্ত, এখানে সব ধরনের মানুষেরই জায়গা আছে, করার কিছু আছে।

আমরা চাই যে কারো লেখা/ কথা/ প্রোফাইল দ্বারা অন্ধভাবে প্রভাবিত না হয়ে মেয়েরা তাদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে শিখুক, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘সমাজ কী করলে দাম দিবে’ এইসব চিন্তা দ্বারা তাদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত না হয়ে কী করলে ‘আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন’, উম্মাহর উপকার হবে সেগুলো যেন আমাদের কন্সার্ণ হয়।

আর এই প্রসেসে সাহায্য হবে যখন মেয়েরা Diversified Human Resources এর সাথে পরিচিত হবে ইনশাল্লাহ, বুঝতে পারবে যে কার সাথে তার পরিস্থিতি মেলে।

তাই আমরা প্রতি সেশনে দুজন অতিথি আনার চেষ্টা করি (ব্যতিক্রমও থাকতে পারে) যারা কাছাকাছি ব্যাকগ্রাউণ্ডের কিন্তু ভিন্ন ধরনের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। যেমন ধরেন দুজনেই ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন কিন্তু একজন নিজ পেশা নিয়ে এগিয়ে গেছেন, কেউ হয়তো ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছুতে ফোকাস করেছেন।

আমরা চাই এই ভিন্ন পথে চলা মানুষরা একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে জানুন, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানবোধের একটা জায়গা তৈরি হোক, superiority complex বা নিজের সিদ্ধান্তকেই শ্রেষ্ঠ মনে করা বা নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার কালচারের অবসান ঘটুক।
আমরা একটা Inclusive Environment তৈরি করতে চাই, খারিজ করার বা কে কার চেয়ে শ্রেষ্ঠ সেটা প্রতিষ্ঠিত করার না।