লিখেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস
আমার মনে আছে গত রমাদানে আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলাম আল্লাহ আমাকে কুরআন বোঝার তৌফিক দিন, আগামী রমাদানের পূর্বেই দিন। এই কোর্স করতে পারা আমার দু’আ কবুলেরই একাংশ আলহামদুলিল্লাহ।
এই একটা কোর্সের মাধ্যমে কুরআনকে এত গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। হামিদা আপুর ক্লাস গুলো বেশি ইফেক্টিভ হয় কারণ আপু ডেইলি লাইফের সাথে তা রিলিট করে দেন। আমরা কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে পারায় যতটা না ফোকাস দেই, ততটা ফোকাস কুরআন বোঝার ক্ষেত্রে দেই না!!
কিন্তু কুরআন বোঝাটা এবং নিজের লাইফে তা প্রয়োগ করতে পারাটাও সমান গুরুত্ব বহন করে।
এই কোর্সের সব থেকে বড় লার্নিং পার্ট হলো কুরআন থেকে দু’আ করতে পারা।
আলহামদুলিল্লাহ হামিদা আপু এত অসাধারণ ভাবে এটা শিখিয়েছেন
প্রতিটা ঘটনাকে আপু এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন যে এখন ঘটনা ভিত্তিক আয়াত গুলো পড়লেই মন ভালো হয়ে যায়। আয়াতের প্রেক্ষাপট, ডেইলি লাইফে এর প্রয়োগ কিংবা আমাদের আচরণে এর বহিঃপ্রকাশ অথবা কঠিন সময়ে রেফারেন্স টেনে দু’আ করতে পারা এই সব কিছুই এখন সহজ হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
এই কোর্সের আরেকটি পজিটিভ দিক হলো, আপুর পরীক্ষা নেয়া + এসাইনমেন্ট দেয়া।
সুবহানাল্লাহ এটা এতো বেশি ইফেক্টিভ ছিল সবার জন্য। প্রতিটা ঘটনা আবারো রিভাইস হয়ে যায় এতে আলহামদুলিল্লাহ। শুধু রিভাইস না, বলতে গেলে একেবারে মাথায় গেঁথে যায়। ( এখানে হাবিবা আপুর কথা মেনশন না করলেই না,,আপু এত সুন্দর করে প্রতিটা এক্সামের আগে কোচিং ক্লাস নিতেন যে পরীক্ষা দেয়াটা সহজ হয়ে যেত। কারণ আপু প্রতিটা টপিক ধরে ধরে আলোচনা করতেন।)
[ রেকর্ড কোর্স কেনা বোনেরা এটা মিস করবেন]
মূলত আপু এই কোর্সে শেখাতে চেয়েছিলেন কুরআনকে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কাজে লাগাতে পারা। কুরআনের ঘটনা গুলোকে রেফারেন্স ধরে ধরে দু’আ করতে পারা। এখন অবশ্য বলতে দ্বিধাবোধ নেই, যে আপু যা শেখাতে চেয়েছিলেন তা পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ। এই কোর্সের একজন ছাত্রী হয়ে এটুকুই শেষ বার্তা এবং একজন শিক্ষিকার হয়তো সার্থকতা এখানেই।
And lastly,,,,,,,, যারা কোর্সটির রেকর্ড কিনবেন আমি মনে করি এটা আপনার জীবনের সেরা ইনভেস্টমেন্ট হবে। তবে এই কোর্স আপনাকে শুধুমাত্র ধরিয়ে দিবে, চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। এত অসাধারণ ভাবে কুরআনের বর্ণনা শৈলী শিখিয়ে দেয়ার জন্য হামিদা আপুকে অসংখ্য শুকরিয়া ও জাযাকিল্লাহু খইর। আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন।