লিখেছেন- হুমায়রা আফিয়া
এটা কী কখনো সম্ভব?
যিনি মহাবিশ্বের সবকিছু অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সৃষ্টি করেছেন,আমাদের দেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ,হাড়,শিরা,উপশিরা,কোষগুলো এতোটা নিখুঁতভাবে ডিজাইন করেছেন তিনি কুরআনকে সুন্দরভাবে সাজাবেন না? অবশ্যই তিঁনি সাজিয়েছেন কিন্তু আমার জানার ঘাটতি আছে। এমন কী উপায় আছে যেটার মাধ্যমে আমি কুরআনের মূল বিষয়বস্তু জানতে পারি?যেন একটা ঘটনার সামগ্রিক চিত্র আমার কাছে ফুটে ওঠে?
এমন প্রশ্ন মাথায় প্রায় ঘুরতো। আল্লাহর অশেষ রহমতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেয়েছি
’কুরআনের বর্ণণাশৈলী বোঝার পদ্ধতি’ কোর্সটা করার মাধ্যমে।
আলহামদুলিল্লাহ । আলহামদুলিল্লাহ।
যদি একলাইনে বলতে হয় কোর্স শেষে আমি শিখলাম? তাহলে বলবো কুরআনকে আমার বন্ধু ভাবতে শিখেছি এবং এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটা দিনকে দিন গাঢ় হচ্ছে।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমার গা গরম হয়ে যেত, জিহ্বা শুকিয়ে যেত বার বার পানি খেতাম কারণ আমি অনেক এক্সাইটেড থাকতাম এবং গভীর চিন্তায় ডুবে যেতাম! হামিদা আপু কুরআনের ঘটনাগুলোকে এমনভাবে বর্তমান সময়ের সাথে রিলেট করতেন যে অবাক না হয়ে পারা যায় না। হৃদয় নিংড়ানো আয়াতগুলোর প্রসঙ্গ আসলে তা আমাদের প্রত্যেকের অন্তরকে নাড়া দিত।
কোর্সের অন্যান্য বিষয় যেমনঃ টু ওয়ে কমিউনিকেশন,এসাইনমেন্ট করা,স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড প্রোভাইড করা,কোশ্চেন ব্যাংক সল্ভ করা,পরীক্ষা দেয়া,পরীক্ষার খাতা চেক করা,হাবিবা আপুর কোচিং ক্লাস,অন্যান্য পার্টিসিপ্যান্টদের সাথে ডিসকাশন করা,কঠিন বিষয় সহজে মনে রাখার জন্য হামিদা আপুর ইফেক্টিভ স্ট্র্যাটেজি(এক লাইনে উত্তর দিন),টাইমলি ক্লাস শুরু হওয়া অর্থাৎ ওভারল ম্যানেজমেন্ট খুবই সুশৃঙ্খল ছিল। পুরো কোর্সটাই একটা দারুণ প্যাকেজ যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে আল্লাহ উত্তম জাযা দান করুন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সন্তুষ্ট রাখুন। (আমীন)
কুরআনের সাথে পথচলা শুরু করার জন্য কোর্সটা অন্যতম রিসোর্স, যা আমার কাছের মানুষ,আত্মীয়সজন,শুভাকাঙ্ক্ষী,বান্ধবীদের রিকমেন্ড করতে চাই। আপনি করছেন তো?