লিখেছেন- ফাতেমা আক্তার
সেদিন একটা বই পড়ছিলাম। বইয়ের একটা পাতায় খুবই সাধারণ কিছু কথা লেখা ছিল। কিন্তু সুবহানআল্লাহ!!!! সেই সাধারণ লাইনগুলো কেন যেন আমি অসাধারণ ভাবে রিলেইট করতে পারলাম। এভাবে অনেক কোটেশন, বইয়ের পাতার লাইন যেন আমাকে অন্যরকম একটা বার্তা দিচ্ছিলো। একেবারে ডিপ রিডিংয়ে ঢুকে পড়েছিলাম।
আরও মজার বিষয়। কুরআন পড়ার সময়ে যতবার কুরআনে বর্ণিত দু’আগুলো সামনে আসছিল, ততবার অন্তর থেকে আমীন বলেছি। মনে হয়েছে, এগুলো তো আমারও চাওয়া। আর একেকটা আয়াত যেন আমি নতুন করে পড়ছি। আমার জন্যই আল্লাহ কুরআনে এগুলো বলছেন । এত ক্লোজলি নিজের সাথে রিলেইট করতে পারাটা যে কী অন্যরকম অনুভূতি তা বলে বোঝানোর মতো না।
আমার কুরআনের পথের এই অসাধারণ জার্নিটা শুরু হয়েছে, হামিদা আপুর ’কুরআনের বর্ণনাশৈলী বোঝার পদ্ধতি ’কোর্সটির মাধ্যমে। এই কোর্সে আমরা এত বেশি ডিপ রিডিং, ডিপ থিংকিং করেছি যে এই এক্সারসাইজটা আমার অন্যান্য অনেক কিছুতে প্রভাব ফেলেছে।
এই কোর্সের বেস্ট পার্ট ছিল, কুরআনের আয়াতগুলো পড়ে দু’আ করতে পারা।
দু’আ করতে পারার এই এক্সারসাইজটা আমাকে আল্লাহর সাথে অকপটে কথা বলার দুয়ার খুলে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
গত রমাদানে আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলাম আল্লাহ যেন কুরআনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করে দেন আমার। সেই দু’আ এত অসাধারণ ভাবে কবুল হবে সেটা ভাবিনি। নিজের সিচুয়েশন কুরআনের সাথে কানেক্ট করতে পারলে, কত কিছু যে পরিবর্তন হয়ে যাবে,তা কল্পনা করা যায় না। আমাদের বিপদগুলো হয়তো রাতারাতি কেটে যাবে না, কিন্তু বিপদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্যে করবে। আল্লাহর আরও কাছে যেতে সাহায্যে করবে ইনশাআল্লাহ।