কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলিতে….

লেখাটি শেয়ার করতে পারেন

.
পাশের কলিগটা কী জানি বলেই যাচ্ছে। এক নাগাড়ে কথা বলে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে লোকটা। অন্যদিন হলে খুব বিরক্ত হত শাহেদ। আজকে আর কিছুই তেমন গায়ে লাগছে না। প্রায় মাস ছয়েক পর আজ বাড়ি যাওয়া হবে। তাও আবার এতদিনের ছুটিতে। খুব যে ব্যস্ততায় দিন কাটে – বিষয়টা তেমন না। গত সপ্তাহে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, মেসের বন্ধুরা মিলে দুম করে মাধবকুন্ডে যাওয়ার প্ল্যান করে ফেলল। শাহেদ যে দুর্বল কন্ঠে আপত্তি করেনি – তা না, কিন্তু রাজু বিরক্ত হয়ে বলে উঠল, “কি রে, শাদু শুধু বাড়ি বাড়ি করিস কেন? বাড়ি মানে তো সেই গাও-গেরাম। সারাটা জীবন তো ঐ গাও-গেরামেই কাটাইলি!! দুনিয়ার কত কিছু দেখলি না, মজা নিলি না। যৌবনটাতো ইনজয় করার জন্যই। সময় থাকতে আমাদের সাথে ট্যুর দিয়া আয়, নাইলে সারাজীবন আফসোস করবি!” কথাটা অবশ্য মিথ্যে নয়। জীবনের অনেকটা সময় অজপাড়া গাঁয়ে কাটিয়েছে, ভার্সিটিতে পড়ার জন্য ঢাকায় আসার পর থেকে যাও একটু জীবনটাকে ইনজয় করা শিখেছে শাহেদ। এখন আর গ্রামের পিছুটানে সময় নষ্ট করতে চায় না। তাই মা’কে ফোনে না করে দিয়ে ঘুরে আসা হলো মাধবকুন্ডে। এভাবেই নানা অজুহাতে প্রায় ছয় মাস বাড়ি যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার করোনার কারণে সব বন্ধ হয়ে গেল। মেসে থাকলেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নেই, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সব বন্ধ। তাই বাধ্য হয়েই এবার গ্রামে যেতে হচ্ছে সবাইকেই।


.
লম্বা রাস্তা পাড়ি দিয়ে বাড়িতে ঢুকে মায়ের চেহারাটা দেখে অবাক হয়ে গেল শাহেদ। এই কয়েক মাসে আরও বয়স্ক হয়ে গেছেন মনে হচ্ছে। চোখের নিচে কালিঝুলি। শাহেদ যখন চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করলো, “তোমার কী হয়েছে মা?” তখন কিছু বলতে যেয়েও বলতে পারলেন না তিনি। “ওসব রাখ তো, আমি ভালোই আছি” – বলে ছেলের হাত ধরে ঘরে ঢোকাতে গেলেন।


কিন্ত শাহেদ বলল, “ আমাকে ধরো না মা। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় জার্নি করে এসেছি, রাস্তায় অনেক লোকের সাথে গা ঘেঁষা-ঘেষি হয়েছে, কার মধ্যে করোনা ভাইরাস ছিল তাতো জানি না, আমাকে তাই এখন ১৪ দিন নিজের ঘরে বন্দী থাকতে হবে। তোমাদের কারও সাথে মেশা যাবে না।”
ছেলের কথা শুনে মায়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এতদিন পর ছেলে বাড়ি ফিরলো, এখন আবার চোখের সামনে থেকেও নাকি তার সাথে মেশা যাবে না, করোনা তাহলে এতই নিষ্ঠুর অসুখ !!
শাহেদের বাবা গিয়েছিলেন স্টেশনের দোকানের চমচম আনতে, এটা শাহেদের খুব পছন্দ। চমচম নিয়ে বাড়ি ফিরেই শাহেদের নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করলেন। শাহেদ বাবার ডাক শুনলেও ঘর থেকে বের হলো না। মায়ের কাছে শাহেদের গৃহবন্দী থাকার কথা শুনে মুষরে পড়লেন বাবাও। ভেবেছিলেন, এত দিন পর ছেলে এসেছে, একসাথে খেতে খেতে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। অথচ ১৪ দিন নাকি ছেলের ঘরের বাইরে খাবার রেখে আসতে হবে!!! এর চেয়ে তো ছেলে দূরে থাকাই ভালো ছিল!! কিন্তু ছেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা ইদানীং হারিয়ে ফেলেছেন তারা। কবে থেকে যেন একটা অদৃ্শ্য দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে ছেলের সাথে তাদের। সেই দূরত্ব অতিক্রম করার সাধ্য নেই তাদের।


.
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর একটা ঘুম দিল শাহেদ। অনেকদিন পর মায়ের হাতের রান্না পেয়ে তৃপ্তি করে খেয়েছিল। ঘুম থেকে ওঠার পর মোবাইল হাতে নিয়ে বসলো, বন্ধু-বান্ধব, কলিগদের খোঁজ নেবে, তারপর একটা মুভি দেখবে ইউটিউবে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে ওয়াই-ফাই নেই। মোবাইলের নেটওয়ার্কও ভালো না। তাছাড়া ফেসবুকের টাইমলাইন জুড়ে শুধু করোনায় আক্রান্ত রোগী আর মৃত্যুর খবর। এসব দেখে মুডটা অফ হয়ে গেল শাহেদের। তাই বাধ্য হয়ে কিছুক্ষণ পর মোবাইল রেখে দিল। এই বদ্ধ ঘরে ১৪ দিন একা কিভাবে কাটাবে –এটা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়লো।
হঠাৎ রুমের এককোনায় থাকা বুকশেলফটার দিকে চোখ পড়লো ওর। একটা সময় অনেক বইপোকা ছিল । কিন্তু ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে একাডেমিক বইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার অভ্যাসটা চলে গেছে। ইদানীং তো অফিসের বাইরে বাকী সময়টা মোবাইল ঘেঁটেই কেটে যায়।
বুকশেলফের বইগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে নতুন কোনো বই পেল না পড়ার মতো। সব বইই আগে পড়া হয়েছে। নতুন বই বলতে একটা তাফসীরসহ বাংলা অনুবাদ পেল কুরআনের।


শাহেদের মনে পড়লো, গতবার গ্রামে আসার পর ছোটবেলার বন্ধু শুভ’র সাথে দেখা হয়েছিল। শাহেদকে দেখেই বুকে জড়িয়ে ধরল, বাড়িতে নিয়ে গেল। অনেক গল্প হওয়ার পর, হাতের কাছে থাকা এই কুরআনটা ওকে যত্ন করে ধরিয়ে দিল। বারবার করে বলল, “দোস্ত, জীবনে তো কত বই পড়েছিস, কখনো কুরআনের অর্থটা মন দিয়ে পড়ে দেখেছিস? এই রমযানে এটা পড়ে দেখিস। আমার বিশ্বাস, তুই নিজের মাঝে অন্যরকম ভালো লাগা অনুভব করবি। আমি যখন পড়া শুরু করি, তখন বারবার মনে হচ্ছিল, যেন কথাগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। আমাকেই বলা হচ্ছে। তুই আমাকে কথা দে, তুই পড়বি এটা?”


শাহেদ শুধু হা হু করে কুরআনটা নিয়ে চলে এসেছিল সেদিন। অফিসের চাপে মুখ তুলে তাকানোর সময় হয় না আর যে মেসটাতে থাকে সেখানকার পরিবেশ এমন যে, কুরআন সাথে করে নিয়ে গেলে পড়া তো হবেই না বরং কুরআনের অবমাননা হবে। এমন সাত-পাঁচ অনেক কথা ভেবে কুরআনটা গ্রামের বাড়ির সেলফে রেখেই চলে গিয়েছিল সে।
আর কিছু পড়ার না পেয়ে অজু করে এসে কুরআনের অনুবাদটা খুলে বসলো শাহেদ।


.
পাতা উল্টাতে উল্টাতে একটা আয়াতে গিয়ে চোখ আটকে গেল শাহেদের।


সেদিন তোমাদের উপস্থিত করা হবে এবং তোমাদের কিছুই আর গোপন থাকবে না। অতঃপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে (আনন্দে অপরকে) বলবে, ‘নাও আমার আমলনামা পড়ে দেখ” (সূরা: হাকক্বাহ১৮১৯)


আয়াতটা পড়েই শাহেদের বুকটা কেমন ধ্বক করে ওঠে। সেদিন তো কিছুই গোপন থাকবে না। ঢাকায় যে মেসটাতে ওরা থাকে, সেখানে যা যা হয় সেগুলোও তো আল্লাহর সামনে সেদিন প্রকাশ পেয়ে যাবে। আল্লাহ তো শাহেদের দিকে ঘুরেও তাকাবেন না, এত জঘন্য সব গুনাহের মধ্যে ডুবে ছিল সে এতদিন।


হঠাৎ বাইরের উঠোনে বাবার উত্তেজিত কন্ঠ শুনতে পেল শাহেদ। বাবা মা’কে বলছেন, “হাশমতের ছেলেটা যে ইটালী থেকে ফিরলো কয়েকদিন আগে ওর নাকি করোনা ধরা পরছে। ওদের বাড়ির সবাইকে একঘরে করে দিছে গ্রামের লোক। আমাদের শাহেদের কথাও জিজ্ঞেস করতেছিল সবাই। আমি বলছি, ও তো ফেরার পর থেকেই ঘরে বন্দী হযে আছে। শাহেদরে কিছু বলতে যাইও না। আমাদের ছেলের কিছু হবে না ইনশাআল্লাহ।”


বাবার কথা শুনে চমকে গেল শাহেদ। হাশমতের ছেলে মানে তো রফিক ভাই !! ছোটবেলায় কত খেলেছে রফিক ভাইয়ের সাথে। ওর মাত্র দুই বছরের বড়। সেই রফিক ভাইয়ের করোনা ধরা পরছে। তার মানে তো ওরও হতে পারে। নাহ , কাল থেকে নামাজ পড়া শুরু করতে হবে আবার।


.
শাহেদের দিনলিপি এখন পুরোই ছকে বাঁধা। নিয়মিত পাঁচ বেলা সালাত আদায় করে আর খাওয়া, ঘুমের সময়টুকু বাদে বাকি সময় কুরআনের বাংলা অনুবাদ তাফসীরসহ পড়ে। এভাবে যে কখন দশদিন কেটে গেছে টেরই পায়নি শাহেদ। এই দশদিনে মহান রবের দেয়া দিকনির্দেশনা পড়ে আর পাঁচবেলা রবের সাথে একান্ত কথোপকথনে শাহেদের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। সে যেন সেই ছোট বেলার ইনোসেন্ট শাহেদে পরিণত হচ্ছে আবার। বিগত কয়েক বছরে শহুরে জীবনের চাকচিক্য আর তথাকথিত অাধুনিক বন্ধুদের সংসর্গে পড়ে ওর অন্তরে যে পন্কিলতা জমেছিল তা যেন ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব, শুভর মতো ভালো বন্ধুর সান্নিধ্য—এসব কিছুর গুরুত্ব আবার নতুন করে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে ও।
মনে মনে ভেবে রেখেছে কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে আবার ছোটবেলার মতো বাবার সাথে মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে। মসজিদের ইমাম সাহেব শাহেদকে খুব ভালোবাসেন। শহর থেকে যখনই সে ফিরত, বাবার কাছে খোঁজ নিতেন, “শাহেদ যে আর মসজিদে আসে না, শরীর ভালা নি?” বাবা কিছু না কিছু অজুহাত দেখিয়ে বাড়ি ফিরে এসে ছেলে বেনামাজি হয়ে যাওয়ায় আফসোস করতেন। কিন্তু শাহেদ এতদিন এসবে পাত্তা দেয়নি। এবার মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের সাথে দেখা করবে ঠিক করেছে।


শুভর সাথেও দেখা করতে হবে। ওর দেয়া উপহারটাই তো শাহেদকে আবার আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছে। ওকে ধন্যবাদ তো দিতেই হবে, সাথে পুকুরে ডুব দিয়ে ছোটবেলার মতো গোসলও করতে হবে। শহরের আধুনিক বন্ধুদের ভীড়ে এতদিন যাকে খ্যাত মনে হতো সেই শুভর জন্যই ইদানীং মনের ভেতর অদ্ভুত টান অনুভব করে শাহেদ।


আর হ্যাঁ, সবচেয়ে বেশি টান অনুভব করে মা-বাবার জন্য। যে মা-বাবাকে তার কয়েক বছর যাবৎ গাঁইয়া, বিরক্তিকর লাগতো সেই মা-বাবার সাথে একসাথে বসে খেতে খুব ইচ্ছা করে এখন শাহেদের। আর তো মাত্র চারটা দিন, এরপর আবার ছোটবেলার মতো বাবার সাথে বাজারে যাবে, মায়ের সাথে রান্নাঘরে বসে গল্প করবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে আবার পুরনো শাহেদকে ফিরে পেয়ে নিশ্চয়ই খুব খুশী হবে ওরা। ওদের হাসিমুখ কল্পনা করে শাহেদের মনটাও ভালো হয়ে ওঠে। এখন শুধু কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার অপেক্ষা!!


.
পরদিন সকাল থেকে শরীরে হালকা জ্বর অনুভব করে শাহেদ। সাথে সামান্য গলা ব্যথা। কিন্তু এটাকে তেমন পাত্তা দেয় না ও। বিগত কয়েকদিনের মতোই নামাজ, খাওয়া, ঘুম আর কুরআন পড়েই দিনটা কাটিয়ে দেয়।


কিন্তু এরপর দিন জ্বর আরও বেড়ে যায়, সাথে গলা ব্যথাও। মা’কে বলে গরম পানি করে দিতে আর সাথে নাপা দিতে। জ্বরের কথা শুনে মা-বাবা দুজনেই অস্থির হয়ে পড়েছেন। মা অবুঝের মতো বলছেন, ‘বাপজান আমারে ঢুকতে দে। আমার কিচ্ছু হবে না। একটু ঢুকতে দে বাপ?”
বাবা ঘরের বাইরে পায়চারি করছেন আর বলছেন কবিরাজ ডেকে নিয়ে আসবেন নাকি। কিন্তু শাহেদের ওদের কথার উত্তর দিতে কষ্ট হচ্ছে। ও শুধু বলল, “তোমরা কেউ ঢুকো না ঘরের ভেতর। আমি আর ২দিন পর নিজেই বের হবো।”


বিকাল বেলা জ্বরের ঘোরে বেহুঁশ হয়ে যায় শাহেদ। ঘোরের মধ্যেই একবার মনে হলো, একটা বড় ছিপ ঘাড়ে করে শুভ এসেছে। এসেই ওকে ঝাঁকি দিয়ে বললো, “কি রে, মাছ ধরতে যাবো তো, ঘুমিয়ে গেলি যে ?”
একবার মনে হলো, বাবার সাথে বাজারে গিয়েছে। বাজার করে ফেরার পথে বাবার হাত থেকে ভারী ব্যাগটা জোর করে টেনে নিল ও। বাবা মুখে আপত্তি করলেও চোখের তারায় ঠিকই খুশীর ঝিলিক খেলে গেল।আবার মনে হলো, মাথার কাছে মা বসে আছেন। চুলে বিলি কেটে দিচ্ছেন, মায়ের মুখে মিষ্টি জর্দার গন্ধ। মায়ের মুখটা ছুতে যেয়েই ঘোর কেটে গেল শাহেদের।


শূন্য ঘরটার দিকে একপলক চেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো ও। দরজার ওপারেই মা-বাবা দাঁড়িয়ে। অথচ তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ আজ আর ওর নেই। এতদিন যখন সুযোগ ছিল, তখনতো ও সেটাকে কাজে লাগায়নি। গত কয়েকবার যখন বাড়ি এসেছে, মা-বাবার সাথে ঠিকমতো বসে কথাও বলেনি। মাকে জিজ্ঞেস করে দেখেনি, মায়ের এখন আর ঘুম থেকে উঠলে বুক ধড়ফড় করে কি না, বাবার শরীরের ব্যাথা কমেছে কি না? অথচ এই মা-বাবা কত কষ্ট করেছেন তাঁর জন্যে। গরমের দিনে পরীক্ষার সময়গুলোতে মা পুরোটা সময় জুড়ে পাশে বসে পাখা দিয়ে বাতাস করতেন। বাবা মাইলের পর মাইল সাইকেলে করে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেতেন। রোদে গরমে বাইরে বসে কষ্ট পেতেন, তাও মুখ ফুটে কিছু বলতেন না। আর তাদের এই কষ্টের ফলে ও যখন ভালো রেজাল্ট করলো , শহরে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেল তখন এই মা-বাবাকেই ইগনোর করা শুরু করেছিল সে। আর আজ যখন আবার নতুন করে তাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে, তাদের জড়িয়ে ধরার জন্য মন ছটফট করছে তখন সেই সুযোগটাই কেড়ে নিলেন আল্লাহ।

মানুষ যখন তাঁর জীবনের সত্যিকারের নিয়ামতগুলোর জন্য শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে যায়, সেগুলোকে taken for granted ধরে নিয়ে মিথ্যে মরীচীকার পেছনে দৌঁড়াতে শুরু করে তখন আল্লাহ তার থেকে সেই নিয়ামতগুলো কেড়ে নেন। তবে কি অাজ শাহেদের জীবনেওে এটা সত্যি হলো?
শাহেদ কি সত্যিই তার জীবনের নিয়ামতগুলো হারিয়ে ফেলবে নাকি নিজের ভুলগুলো সংশোধনের আরেকটা সুযোগ পাবে?
বদ্ধ রুমের ভেতর শাহেদের এই হাহাকার প্রতিধ্বনির মতো বার বার ঘুরতে থাকে।


লেখাটি শেয়ার করতে পারেন