অন্যরকম জিহাদ

লেখাটি শেয়ার করতে পারেন


দৃশ্যপট ১-
জোভান একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ার পর এখন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে এসাইনমেন্টের কাজ করছিল সে। হঠাৎ খেয়াল করল, পাশের টেবিলে বসা ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই মোবাইলের হেডফোন কানে দিয়ে কি যেন শুনছে আর বার বার চেখের পানি আটকানোর চেষ্টা করছে। কৌতূহলবশত উনার কাছে গিয়ে জানতে চাইল, “ভাইয়া, কি এমন শুনছেন যা আপনাকে বার বার অশ্রুসিক্ত করে দিচ্ছে?” উনি কোন উত্তর না দিয়ে নিজের কান থেকে হেডফোনটা খুলে জোভানের কানে লাগিয়ে দিল । জোভান তখন শুনতে পেল সূরা আর-রহমানের অর্থসহ তেলাওয়াত।
“অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?” –
বার বার এই আয়াতটা শুনতে শুনতে জোভানের আচমকা মনে হলো আল্লাহ যেন জোভানকেই এই প্রশ্নটা করছেন। কেমন যেন আনমনা হয়ে গেল সে। হেডফোনটা ফিরিয়ে দিয়ে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে এল। গাড়িতে উঠে বাসার দিকে রওনা দিল জোভান। ক্যাম্পাসের গেট থেকে বেরিয়ে মূল রাস্তায় আসতেই দেখল, ওর ক্লাসের অনেক ছাত্র প্রচন্ড গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। দামী ব্রান্ডের গাড়ি চালাতে চালাতে জোভানের মনে হলো , এই যে ওর বয়সী কেউ কেউ রোদে দাঁড়িয়ে ঘামছে একটা পরিবহণের আশায় ,আর ও নিশ্চিন্তে প্রতিদিন গাড়িতে করে আরামে বাসায় ফেরে এটা তো ওর প্রতি আল্লাহর একটা নিয়ামত। বাসায় ফিরে নিজের ঘরের এসি ছেড়ে বিছানায় কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইল জোভান। হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল ওদের অ্যাপার্টমেন্টের সিকউরিটি গার্ড বাচ্চু চাচার চেহারা। এই গরমেও ফুলহাতা ইউনিফরম পড়ে গেটের কাছে একটা টুলের উপর বসে সারাদিন ডিউটি করেন উনি, মাথার উপর একটা ফ্যানের ব্যবস্থাও নেই। অথচ জোভান এসি গাড়ি, এসি রুমে থেকে বাইরের তাপমাত্রার তীব্রতা কিছুই অঁাচ করতে পারে না। এটাও কি ওর প্রতি আল্লাহ নিয়ামত নয়? মায়ের ডাকে সম্বিত ফিরল জোভানের। ডাইনিং টেবিলে খেতে বসে লক্ষ্য করল ,হরেক রকমের খাবারের আইটেম সাজানো টেবিলে। অথচ ওদের বাসার ছুটা বুয়াকে দেখল, ভাত.ডাল ,সবজি আর এক টুকরা মাছ প্লেটে নিয়ে চলে যেতে। বস্তিতে গিয়ে হয়ত এই খাবারটাই ছেলের সাথে ভাগ করে খাবেন উনি। যে বুয়া সকাল থেকে এত আইটেম রান্না করল তার জন্য বরাদ্দ দুই আইটেম আর জোভানের সামনে সাজানো এত এত খাবার- এটাও তো ওর প্রতি আল্লাহর নিয়ামত বৈ কিছু নয়। এভাবে অজস্র নেয়ামতে পরিপূর্ণ ওর জীবন-এই সত্যটা জোভান আজ চরমভাবে উপলব্ধি করল। সাথে সাথে নিজেকে এই প্রশ্নটাও করল, ‘প্রাত্যহিক জীবনের এত এত নিয়ামতের জন্য ও কি নিয়মিত শুকরিয়া আদায় করে ওর প্রতিপালকের?’ শুক্রবার জুমুআর নামাজ ছাড়া অন্যান্য দিন নামাজ তো তেমন পড়াই হয় না। অথচ বাচ্চু চাচাকে দেখেছে ডিউটির ফাঁকে গিয়ে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আসতে। আল্লাহর এত এত নিয়ামতে পরিবেষ্টিত থাকার পরও তাঁকে ভুলে থাকার কৈফিয়ত পরকালে কিভাবে দেবে এই চিন্তা অস্থির করে তুলল জোভানকে । ঠিক করল কাল থেকে নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করবে সে। পরদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে যোহরের সালাত আদায় করতে গিয়ে দেখা হলো সেই বড় ভাইয়ের সাথে । জোভানকে মসজিদে দেখে একটু অবাক হলেন তিনি। জোভান ভাইয়াকে জানাল ওর মানসিক অবস্থার কথা। ভাইয়া শুনে খুশি হয়ে ওকে নামাজ পড়াটা কন্টিনিউ করতে বললেন। সাথে এও বললেন, জোভান চাইলে তিনি ওকে কিছু ধর্মীয় বই পড়তে দিতে পারেন যেন নামাজের পাশাপাশি অন্য ইবাদতের মাধ্যমেও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারে সে। জোভানও এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল। এরপর বড় ভাইয়ের দেয়া বিভিন্ন ধর্মীয় বই পড়তে পড়তে জোভান ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারল। বুঝতে পারল , দুনিয়ার এই ভোগ-বিলাস সবই ক্ষণস্থায়ী। পরকালে এসব কিছুর জন্যই তাকে হিসাব দিতে হবে মহান রবের কাছে। এই অনুভব থেকে জোভান তার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ফেলল। গাড়ি , এসি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিল। রেস্টুরেন্টে খাওয়া, গান শোনা, টিভি দেখা ছেড়ে দিল। নিজের রুম থেকে সব ছবি নামিয়ে ফেলল। তার এই অকস্মাৎ পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন জোভানের বাবা- মা। একদিন ডাইনিং টেবিলে ওকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই জোভান ওর বাবাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করল, “সরকারী চাকুরী করে তোমার এত প্রাচুর্যের রহস্য কি”? ওর এই প্রশ্ন শুনে হতভম্ব বাবা আর কোন কথা খঁুজে পেলেন না। এবার মা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করতেই মাকেও কড়া ভাষায় জোভান বলল, “সারা দিন হিন্দি সিরিয়াল দেখা আর পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করার বদলে তোমার উচিত পর্দা করা শুরু করা ।” জোভানের এই ধরনের কথায় ওর বাবা-মা বুঝতে পারলেন, ছেলে তাদের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবার তারা অন্য রাস্তা বেছে নিলেন। আত্মীয়-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধবদের দিয়ে জোভানকে এই গোঁড়ামি ( তাদের ভাষায়) থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বলাতে লাগলেন। ঘরে, বাইরে সব জায়গায় একই ধরনের উপদেশ শুনতে শুনতে বিরক্ত জোভান একদিন কাউকে কিছু না বলে একটা চিঠি লিখে রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। চিঠির ভাষাটা ছিল অনেকটা এরকম, “আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি হেদায়েত লাভ করেছি আর সাথে এটাও বুঝতে পেরেছি যে, তোমাদের মাঝে থাকলে আমি শান্তিতে ধর্ম পালন করতে পারব না। তাই তোমাদের ছেড়ে আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে উৎসর্গ করলাম। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।”
দৃশ্যপট ২
সেলিনা একটি ইসলাম প্র্যাকটিসিং পরিবারের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছে ওর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনরা প্রতিদিন নামাজ পড়ে, রমজানে নিয়মিত রোজা রাখে, কুরআন খতম দেয়, যাকাত দেয় আর বৃদ্ধ বয়সে একবার হজ পালন করতে যায়। শৈশব থেকে ধর্ম পালন বলতে এই আমল গুলো করাকেই বুঝতো সে। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে ওর এক বান্ধবী ওকে ‘Dawah for the sisiters’ নামে একটি গ্রপের মেম্বার হওয়ার জন্য invite করল। কৌতূহলবশত invitation accept করল সেলিনা। এরপর থেকে ফেসবুকে ওর টাইমলাইনে এই গ্রপের বিভিন্ন পোস্ট রেগুলার আসতে শুরু করল। ফরজ, নফল, সুন্নত ইবাদত সম্পর্কে কুরআন-হাদীসের বিভিন্ন বাণী, তওবা, ইস্তেগফার, সাদাকাহ, দু’আ প্রভৃতি আমলের গুরুত্ব, নবী-রাসূল , সাহাবীদের জীবনের বিভিন্ন সত্য ঘটনা –এগুলো প্রতিদিন একটু একটু করে পড়তে পড়তে ওর মনোজগতে ধীরে ধীরে আলোড়ন তৈরি হলো। ওর মনে হলো, প্রতিদিন ও নিজে এবং ওর পরিবার ,আত্মীয়-স্বজন সবাই যেন তাদের ইবাদতের মাধ্যমে একটি ছিদ্রযক্ত বালতিকে উপর থেকে পানি ঢেলে ভরাট করবার ব্যথ চেষ্টা করে যাচ্ছে। একদিকে নামাজ পড়ছে অন্যদিকে কারণে –অকারণে মিথ্যা বলছে, রোজা রাখছে অথচ গীবত করছে, কুরআন পড়ছে অথচ নিজের সাফল্য নিয়ে অহংকার করছে, যাকাত দিচ্ছে অথচ মেয়ে,বোনকে সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার দিচ্ছে না, হজ করছে অথচ উপার্জন হালাল না হারাম এই বিষয়ে চিন্তা নেই। এরকম অজস্র পরষ্পরবিরোধী কর্মকান্ডে সবাইকে অভ্যস্ত দেখে সেলিনার মন ভেঙ্গে গেল। সবাইকে বুঝানো ওর একার পক্ষে সম্ভব না এটা ভেবে ওর ইচ্ছে হলো সবাইকে ছেড়ে দূরে কোথও চলে যেতে। কিন্তু একদিন হযরত উমর (রা:) এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা পড়ে ও যেন হতাশার মধ্যেও নতুন পথের সন্ধান পেল। নবুয়্যত প্রাপ্তির পর হযরত মুহাম্মদ ( সা:) যখন ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কুরাইশদের অবিরাম বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তখন তিনি আল্লাহর দরবারে দুআ করতে লাগলেন যেন হযরত উমর ও আবু জেহেলের মধ্যে যে কেউ একজন ইসলাম কবুল করেন এবং ইসলাম প্রচারের কাজে তাঁকে সহযোগীতা করেন। হযরত মুহাম্মদ ( সা:) এর দুআর ফলে নাটকীয়ভাবে হযরত উমর (রা:) ইসলাম কবুল করেন এবং তিনিই প্রথম মক্কায় প্রকাশ্যে নামায় আদায়ের প্রচলন করেন। এভাবে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে কারও জন্য প্রতিনিয়ত দুআ করলে আল্লাহর ইচ্ছায় তার মনেও দ্বীনের সঠিক বুঝ আসতে পারে -এটা অনুধাবন করতে পেরে সেলিনার মনে আশার সঞ্চার হলো। এরপর থেকে সে তার ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিদিন কুরআন-হাদীসের বাণী, শিক্ষামূলক ঘটনা পোস্ট দিতে লাগল যেন তার বন্ধু ,আত্মীয়রাও ইসলাম সর্ম্পকে জেনে সঠিক নিয়মে আমল করতে পারে। তবে তার এ প্রচেষ্টার ফল খুব একটা সুখকর হলো না। পরিবার ,বন্ধু ,আত্মীয়রা সবাই ভাবল সে হয়ত ‘হুজুরনী’ হয়ে গেছে। কিন্তু সেলিনা এসব কথায় একটুও হতাশ হলো না বরং বিভিন্ন গেট টুগেদারে দেখা হলে সুযোগ পেলেই পরিচিতদের দ্বীনের সঠিক বাণী প্রচার করতে লাগল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূণ যে জিনিসটা সে করতে শুরু করল তা হলো দুআ করা। আল্লাহ যেন তার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়দের দ্বীনের সঠিক বুঝ দেন সেজন্য সে নিয়মিত দুআ করতে লাগল-
“ হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।”
উপরের ঘটনা দুটির পাত্র-পাত্রীদের পরিণতি ভিন্ন হলেও তাদের প্রাথমিক সমস্যা কিন্তু একই। আল্লাহর অশেষ রহমতে যখন েকউ ‘হেদায়েত’ নামক পরশ পাথরের সন্ধান পান তখন প্রথমেই তার সংঘষ শুরু হয় তার নিকটজনদের সাথে। বছরের পর বছর ধরে পরিচিত মহলে যে ধর্মীয় রীতি মেনে চলা হয় তা উপেক্ষা করে নিজে সঠিক পদ্ধতিতে ইসলাম পালন করা যেমন তার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় তেমনি আপনজনদের সাথে আগের মতো মেলামেশা করাটাও অস্বস্তিকর ব্যাপারে পরিণত হয়। তবে এই সমস্যার সমাধান কি? জোভানের মতো সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়া নাকি সেলিনার মতো সবার মাঝে থেকেও নিজেকে সঠিক নিয়মে ইসলাম পালনের আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করে অন্যদেরও ইসলামের পথে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা?
ছোটবেলায় পাটীগণিতে একটি অংক সবাইকেই করতে হতো, “একজন মাঝি স্রোতের অনুকুলে নৌকা চালিয়ে ঘন্টায় ৫ কি মি যায় আবার স্রোতের প্রতিকুলে ৩ কি মি ফিরে আসে। এভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে তার কত সময় লাগবে ?” এখানে স্রোতের অনুকুলে নৌকা চালানো যেমন সহজ তেমনি দ্বীনি সার্কেলে থেকে তাদের সাথে একত্রে ইসলাম পালন করাও অপেক্ষাকৃত সহজ কাজ। পক্ষান্তরে দ্বীন সম্পর্কে সঠিক ধারণো নেই এমন সার্কেলে থেকে সঠিক নিয়মে ইসলাম পালন করা অনেকটাই চ্যালেন্জিং যেমন কঠিন স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালানো। তবে এই চ্যালেন্জ হেরে যাওয়াটা কিন্তু প্রকৃত মুসলমানের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত নয়। বরং গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মাঝির মতোই তার সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত। মনে রাখা উচিত যে, পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতা স্বত্তেও নিজে সঠিক নিয়মে ধম পালন করা এবং আপনজনদের সাথে সুসম্পক বজায় রেখে তাদেরকেও ইসলামের সঠিক পথে আহ্বান করার প্রচেষ্টা চালানো এক ধরনের মনস্তাত্বিক লড়াই, এক অন্য রকমের ‘জিহাদ’। জিহাদ মানে তো শুধু যুদ্ধের ময়দানে ঢাল ,তলোয়ার নিয়ে বিধর্মীদের সাথে লড়াই করা নয় বরং প্রতিকূল পরিবেশে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখা এবং অন্যদেরকেও নিজের স্বপক্ষে অানার চেষ্টা করা- এটাও এক ধরনের জিহাদ, ‘দাওয়াহ’ এবং ‘দুআ’ যে জিহাদের প্রধান দুই অস্ত্র।
তাই আসুন, যারা আল্লাহর অশেষ রহমতে হেদায়েতের সন্ধান পেয়েছি তারা নিজেরা সঠিক নিয়মে ইসলাম পালনের পাশাপাশি নিজের পরিবার, আত্মীয়দেরও সঠিক পথে আনার জন্য জিহাদ শুরু করি ‘দাওয়াহ’ এবং ‘দুআ’র মাধ্যমে। কারণ জন্মের পর থেকে যাদের স্নেহ, ভালোবাসার স্পর্শে এত বড় হয়েছি তাদের ছাড়া একাকী জান্নাতে গেলে সেখানে নিজের আনন্দ পরিপূণতা পাবে কি? আমাদের উদ্দেশ্যেই তো আল্লাহ বলেছেন,
“আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সঙ্গেই আছেন।“ ( আল আনকাবুত: ৬৯)
আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে কবুল করে নেন। আমীন।


লেখাটি শেয়ার করতে পারেন